উত্তর : ওমর (রা.) নারীদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন কথাটি সঠিক নয়। বরং বলা যায় যে, তিনি তা আশা করেছিলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে নারীরা নামাযের জামা’আতে গিয়েছেন, পরেও গিয়েছেন এবং এখনও যাচ্ছেন। বরং এদেরকে বাধা দেওয়া অন্যায়, তবে যাওয়াটা জরুরী না। তারা ইচ্ছা করলে মসজিদে যেতে পারেন, জামা’আতে যেতে পারেন, ঈদগাহের জামা’আতে যেতে পারেন, তারাবীর জামা’আতে নামায পড়তে পারেন। যেহেতু শরীয়ত প্রণেতা হচ্ছেন আল্লাহ্ তাই আল্লাহ্ তার রাসূলকে যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে যেভাবে আল্লাহ্ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ উম্মাতকে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে আমাদের চলতে হবে। ওমর (রা.) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামমের প্রদত্ত নির্দেশ পালনের পথ রুদ্ধ করেননি। এর ফলে নারীরা যে অধিকার আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পেয়েছেন কিয়ামত পর্যন্ত তাদের সে অধিকার বহাল থাকবে। আব্দুল্লাহ ইবন উমার বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের নারীগণ যখন মসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায় তখন তোমরা তাদেরকে মসজিদে যেতে বাধা দিও না।” বিলাল ইবন আব্দুল্লাহ বললেন, “আল্লাহ্র কসম আমি তাদেরকে যেতে বাধা দিব”। বর্ণনাকারী বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন উমার তার দিকে উঠে গেলেন এবং তাকে এমন কড়া কথা বললেন যে, এর পূর্বে আমি কখনো তাকে এরূপ কড়া কথা বলতে শুনিনি। তিনি আরো বললেন, “আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামমের হাদীস বর্ণনা করছি আর তুমি কিনা বলছ, আল্লাহ্র কসম আমি তাদেরকে বাধা দিব” [সহীহ মুসলিম : ১০১৭]।
Saturday, January 30, 2016
প্রশ্ন ০২ : আল্লাহ্ পাক নারীদের প্রতি জুম‘ আর জামা’আত ও ঈদগাহে হাজির হয়ে নামায পড়া ফরয বা ওয়াজিব করেননি। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে নারীরা এতে হাজির হয়ে নামায পড়তেন। তিনি এতে নিষেধও করেননি এবং আদেশও দেননি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে নারীদের মাঝে বিলাসিতা ও লজ্জাহীনতা দেখা দেয়ার কারণে দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রা.) তা নিষেধ করে দেন এবং তখন হতে যুগু যুগ ধরে তা বন্ধ। কিন্তু এখন দেখা যায় কিছু কিছু নারী জুম‘ আর জামা’আতে, তারাবী ও ঈদগাহে হাজির হয়ে নামায পড়ে। আমার প্রশ্ন এটা কি জায়েয? এসব নারীদের বা যারা এ রকম প্ররোচনা দিচ্ছে তাদের কি বা গুনাহ হবে?
প্রশ্ন ৫২২: ১৯৯৪ সালে আমার বাবা ও ২০০১ সালে আমার মা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। যখনই আমি ইবাদাত বন্দেগী করি তখনই তাদের মাগফিরাতের জন্য দু‘ আ করি। এছাড়াও বাড়তি লোকের দু‘ আর জন্য প্রতি রমাযান মাসে কুরআনে হাফেজ দ্বারা খতমে কুরআন ও মসজিদের হুজুর দ্বারা ইফতার মাহফিল বা বড় ধরনের খানার আয়োজন করি এবং বহু লোকজন দাওয়াত করি ওনাদের মুক্তি কামনায় দু‘ আ করার জন্য। ইফতার পাটির্ ও খানার আয়োজন না করলে মুসল্লি − ও অন্যান্য রোযাদার লোকজন আসতে চান না। এখন তারা এসে যে দু‘ আ করেন সে দু‘ আ করলে আমার বাবা-মার কি কল্যাণ হবে বা হাফেজে কুরআন দ্বারা কুরআন খতম ও রোযাদার মুসল্লি দ্বারা দু‘ আ করালে সে সাওয়াব আমার বাবা-মা পাবেন কি? এ কাজ কতটুকু যুক্তিযুক্ত হাদীসের আলোকে জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর : আমরা বিভিন্ন সময় বলে আসছি এবং অবগতির জন্য আবারও বলছি যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব বিষয়ে যে আদর্শ রেখে গেছেন এবং সাহাবায়ে কেরাম যে আদর্শস রেখে গেছেন তা অনুসরণ অনুকরণ করতে হবে। আপনি যে প্রক্রিয়ার কথা বললেন আসলে এটা ঠিক না। একজনের ইবাদাত বন্দেগি আরেকজন পেয়ে যায় এটাও ঠিক না। ইবাদাত বন্দেগি তিনি যা করেছেন সেটারই কল্যাণ তিনি পাবেন। দুনিয়াবাসী যারা দু‘ আ করবেন এই দু‘ আ করণেওয়ালারা সাওয়াব পাবেন এবং যে কবরবাসীর জন্য দু‘ আ করছেন তারাও উপকৃত হবেন আশা করা যায় এবং এ দু‘ আ আল্লাহ্ কবুলও করবেন মৃত ব্যক্তিদের পক্ষে। ইবাদাত বন্দেগি একজনেরটা আরেকজন করে দিতে পারেন না। জানাযার সময় যে দু‘ আ করা হয় সেটা আপনি সব সময় করতে পারেন। নামাযের আগে পরে করতে পারেন। কুরআন তিলাওয়াত করে করতে পারেন। কিন্তু হাফেজ সাহেবদের দিয়ে দু‘ আ করালে ও তিলাওয়াত করালে তাতে আপনার কি? আপনি আপনার আব্বার জন্য দু‘ আ করলে সেটাই হলো প্রকৃত দু‘ আ যেমন আমি আমার বাবা-মার জন্য দু‘ আ করি “রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগীরা” [সূরা বনী ইসরাইল : ২৪]। অর্থাৎ “হে আমার রব! আপনি পিতা-মাতার প্রতি দয়া করুন যেমনিভাবে তারা আমার প্রতি শৈশবে দয়া করেছিল”। আপনি আপনার বাবা-মার জন্য এ দু‘ আ করতে পারেন। হাদীসে এসেছে, মৃত ব্যক্তি যা দ্বারা উপকৃত হতে পারে তম্মধ্যে রয়েছে নেক সন্তানের দু‘ আ [সহীহ মুসলিম : ৩০৮৪]। হাফেজ সাহেবরা কুরআন তিলাওয়াত করলে তারা সাওয়াব পাবেন। আপনি বাবা-মার জন্য তিলাওয়াতসহ দু‘ আ করলে আপনার বাবা মা উপকৃত হবেন এটাই স্বাভাবিক। আর তারা কুরআন খতম করে যদি দু‘ আ করে তাদের দু‘ আও কবুল হতে পারে। তবে আমাদের দেশে আনুষ্ঠানিকতা করে মাইক দিয়ে যে দু‘ আ করা হয়, কুরআন তিলাওয়াত করা হয় এবং আলেমরা কয়েকজনে মিলে কুরআন খতম দিচ্ছেন এরকম আনুষ্ঠানিকতা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়। কুরআন পড়ছেন, মানুষরা শুনছেন না, বুঝছেন না এতে করে বরং কুরআনের তিলাওয়াতে বিঘ্ন ঘটছে। সুতরাং আপনি আপনার বাবা-মার জন্য তিলাওয়াত করবেন, দু‘ আ করবেন এবং তা কবুল হবে বলেও কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “আমি আহবানকারীর আহবান ও দু‘ আ কবুল করি যখন সে আমাকে ডাকে” [সূরা বাকার : ১৮৬]। আল কুরআনে আরো বলা হয়েছে, “তোমরা আমাকে ডাক বা আমার নিকট দু‘ আ কর আমি কবুল করব” [সূরা মু’ মিন : ৬০]। হাদীসে এসেছে : “কোনো নেক সন্তান রেখে যে ঈমানদার মা-বাবা দুনিয়া ত্যাগ করবে তারা কবরে সন্তানের দু‘ আ দ্বারা উপকতৃ হবেন” [সহীহ মুসলিম : ৩০৮৪]।
প্রশ্ন ৪৮৮: আমার স্বামী সরকারি চাকুরীজীবী ছিলেন। ১৪ বছর আগে তিনি ইন্তেকাল করেন। জীবিত অবস্থায় তার ইচ্ছা ছিল অবসরকালীন সময়ে আমাকে নিয়ে হজ্জে যাবেন কিন্তু তার সে ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেননি। এমতাবস্থায় আমি জানতে চাই মৃত ব্যক্তির বদলী হজ্জ পূরণ হবে কি?
উত্তর : আসলে মৃত ব্যক্তি যদি তার উত্তরাধিকারীদের কাছে তার হজ্জ করিয়ে দেবার জন্য ওছিয়ত করে যান বা জীবদ্দশায় হজ্জ করার মানত করে যান তাহলে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তি থেকে উত্তরাধিকারীদের জন্য বদলী হজ্জ করিয়ে দেবার প্রয়োজন আছে। কিন্তু তিনি যদি ওছিয়ত করতে না পারেন বা তার খুব ইচ্ছা ছিল আগ্রহ ছিলো কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে তার ইচ্ছা পূরণ হয় নাই বা সম্পন্ন করতে পারেন নাই, ওছিয়তও করে যেতে পারেন নাই এবং তিনি দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। কিন্তু উত্তরাধিকারীরা জানেন তার এ ইচ্ছার কথা। তাহলে তার পক্ষে বদলী হজ্জ করিয়ে দেয়া যায়। হাদীস শরীফে এসেছে, বুরাইদাহ (রা.) বলেন, “এক মহিলা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, আমার মা মারা গেছে কিন্তু সে হজ্জ করতে পারেনি। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করবো তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, তুমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ্জ কর” [সুনান তিরমিযী : ৯২৯]। আপনি এমন কাউকে দিয়ে হজ্জ করিয়ে দিতে পারেন যিনি নিজের জন্য হজ্জ করেছেন।
Thursday, January 28, 2016
প্রশ্ন- ৪৪৮: রোযাদার ব্যক্তিকে হাতের রোযা, মুখের রোযা, নাকের রোযা, কানের রোযা ইত্যাদি আদায় করতে হয় বলে শুনেছি। এর সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর : এটার অর্থ
হতে
পারে
সবকিছুরই
জবাবদিহিতা
আছে। কুরআনের ভাষ্য হলো,
হাত-নাক-কান এগুলোর জবাবদিহিতা আছে। পবিত্র
কুরআনে
মহান আল্লাহ বলেন,
“আজ
আমি
তাদের
মুখ
সমূহে
মোহর
মেরে
দেব,
এবং
তাদের হাতসমূহ আমার সাথে কথা বলবে ও তাদের পা সমূহ সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত” [সূরা ইয়াসিন : ৬৫]। এখন হাত দিয়ে
যদি
এমন
কাজ
করা
হয়,
যা
করলে
রোযা
নষ্ট
হতে
পারে
অর্থাৎ
যে
কাজ আল্লাহ পছন্দ
করেন
না
এমন
কাজ করলে রোযার মধ্যে ত্রুটি সৃষ্টি হবে। তার
মানে
এই
নয়
যে
রোযা
নষ্ট
হয়ে
যাবে;
রোযার
যে
মূল
পাওনা
সেটা
কমে
যাবে। রোযার পূর্ণ
হক
আদায়
হবে
না।
প্রশ্ন - ৩৬২: আমি আমেরিকায় একটি ক্যাসিনোতে চাকুরী করি, যেখানে জুয়া খেলা হয়। তবে আমি জুয়া খেলি না। কেবল বেঁচে থাকার তাগিদে সন্তানদের চাহিদা পূরণের জন্য ক্যাসিনোতে কাজ করি। আমার এই উপার্জন কি হারাম। আমি যদি দান করি বা যাকাত দেই তবে কি আমার দান ও যাকাত কবুল হবে? কুরআন-হাদীসের আলোকে জানতে চাই।
উত্তর : জুয়া খেলা ইসলামে সম্পূর্ণ নাজায়েয। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেছেন, “হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমুহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও [সূরা মায়িদা : ৯০]। জুয়া খেলায় সাহায্য করা বা জুয়া খেলার যে প্রতিষ্ঠান তাতে চাকুরী করাও সম্পুর্ণ না জায়েজ। এমন উপার্জন ইসলামে বৈধ নয়। আপনার উচিত এ কাজ ছেড়ে দেয়া এবং আল্লাহ্ নিকট তওবা করা। হারাম উপায়ে উপার্জিত সম্পদের যেহেতু মালিকানা সাব্যস্ত হয় না সেহেতু এ সম্পদ দিয়ে যাকাত প্রদান করলে বা তা দান করলে কবুল হবে না বা কোনো সাওয়াব পাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে হালাল উপার্জন থেকে খেজুর পরিমাণ সাদাকা করল। আল্লাহ্র নিকট হালাল উপার্জন ছাড়া অন্য উপার্জন পৌঁছে না। আল্লাহ্ তা ডান হাতে কবূল করেন এবং দানকারীর জন্য তা এতো পরিমাণে বৃদ্ধি করেন যে, তা পাহাড় সমতূল্য হয়ে যায়। [সহীহ বুখারী : ৬৮৭৮]।
Wednesday, January 27, 2016
প্রশ্ন-০১: আমার আম্মা আকজন কিডনি রোগী। বর্তমানে তার ডায়ালাইসিস চলছে আমেরিকার হাশপাতালে। এমতাবস্থায় তার পক্ষে নামায আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। সুতরাং নামাযের কাযা ও কাফফারা কিভাবে আদায় করা যাবে? জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি তার পক্ষে রোযা বা নামায আদায় করতে পারব কি? অন্য কাউকে দিয়ে রোযা রাখালে কতো টাকা কিভাবে দিতে হবে?
উত্তর : যদি তার স্বাভাবিক জ্ঞান চিকিৎসাকালে না থাকে, তাহলে তার ওপর সালাত ও সাওম কোনোটাই ফরয থাকবে না। জ্ঞান থাকলে অবশ্য ফরযিয়ত বাতিল হবে না। সেক্ষেত্রে রোযার ব্যাপারে ব্যবস্থা হলো ফিদয়া দিতে হবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ এ মর্মে ঘোষণা করেছেন, "আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়াÑ একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা" [সূরা বাকারা: ১৮৪]। ফিদিয়া হলো মিসকিনকে খাওয়ানো। অর্থাৎ একজন গরীব মানুষকে খাওয়ানো যার অন্নের অভাব রয়েছে। যতগুলো রোযা বাদ গেছে তার প্রতিটির বিপরীতে একজনকে খাওয়াতে হবে। দরিদ্র ব্যক্তির একদিনের খাবার কি হবে এবং কতটুকু হবে সে সম্পর্কে আলিমগণের বক্তব্য হচ্ছে, ঐ শহরের প্রধান খাদ্য যেমন, চাল, গম ইত্যাদি থেকে প্রতিদিন সাওমের পরিবর্তে নিসফে সা বা প্রায় দেড় কেজি পরিমাণ প্রদান করা [ফাতওয়া আল-লাজনা আদ- দায়িমাহ : ১০/১৬১]। কিন্তু নামাযের ব্যাপারে এমন কোনো সুযোগ নেই। নামায যারটা তারই আদায় করতে হবে যতক্ষণ জ্ঞান আছে। যদি দাঁড়িয়ে পড়তে না পারে তাহলে বসে, বসে পড়তে না পারলে শুয়ে, শুয়ে পড়তে না পারলে ইশারায়ও পড়তে হবে। অর্থাৎ নামায আদায় করতেই হবে। সুতরাং অবস্থা অনুযায়ী যেভাবেই পড়বে নামায আদায় হয়ে যাবে। ব্যক্তি নিজেই তা আদায় করবেন। আপনি তার পক্ষে নামায পড়লে তা শুদ্ধ হবে না। হাদীস শরীফে এসেছে, "ইমরান ইবন হুসাইন (রা.) বলেন, আমি একজন অর্শরোগী। তাই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর। তাতে যদি সক্ষম না হও তবে বসে পড়। তাতেও যদি সক্ষম না হও তবে শুয়ে কাত হয়ে সালাত আদায় কর" [সহীহ বুখারী : ১১১৭]।
Subscribe to:
Posts (Atom)