উত্তর : যদি তার স্বাভাবিক জ্ঞান চিকিৎসাকালে না থাকে, তাহলে তার ওপর সালাত ও সাওম কোনোটাই ফরয থাকবে না। জ্ঞান থাকলে অবশ্য ফরযিয়ত বাতিল হবে না। সেক্ষেত্রে রোযার ব্যাপারে ব্যবস্থা হলো ফিদয়া দিতে হবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ এ মর্মে ঘোষণা করেছেন, "আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়াÑ একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা" [সূরা বাকারা: ১৮৪]। ফিদিয়া হলো মিসকিনকে খাওয়ানো। অর্থাৎ একজন গরীব মানুষকে খাওয়ানো যার অন্নের অভাব রয়েছে। যতগুলো রোযা বাদ গেছে তার প্রতিটির বিপরীতে একজনকে খাওয়াতে হবে। দরিদ্র ব্যক্তির একদিনের খাবার কি হবে এবং কতটুকু হবে সে সম্পর্কে আলিমগণের বক্তব্য হচ্ছে, ঐ শহরের প্রধান খাদ্য যেমন, চাল, গম ইত্যাদি থেকে প্রতিদিন সাওমের পরিবর্তে নিসফে সা বা প্রায় দেড় কেজি পরিমাণ প্রদান করা [ফাতওয়া আল-লাজনা আদ- দায়িমাহ : ১০/১৬১]। কিন্তু নামাযের ব্যাপারে এমন কোনো সুযোগ নেই। নামায যারটা তারই আদায় করতে হবে যতক্ষণ জ্ঞান আছে। যদি দাঁড়িয়ে পড়তে না পারে তাহলে বসে, বসে পড়তে না পারলে শুয়ে, শুয়ে পড়তে না পারলে ইশারায়ও পড়তে হবে। অর্থাৎ নামায আদায় করতেই হবে। সুতরাং অবস্থা অনুযায়ী যেভাবেই পড়বে নামায আদায় হয়ে যাবে। ব্যক্তি নিজেই তা আদায় করবেন। আপনি তার পক্ষে নামায পড়লে তা শুদ্ধ হবে না। হাদীস শরীফে এসেছে, "ইমরান ইবন হুসাইন (রা.) বলেন, আমি একজন অর্শরোগী। তাই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর। তাতে যদি সক্ষম না হও তবে বসে পড়। তাতেও যদি সক্ষম না হও তবে শুয়ে কাত হয়ে সালাত আদায় কর" [সহীহ বুখারী : ১১১৭]।
No comments:
Post a Comment